Muntasir Overview
আইন আছে, তবে প্রয়োগ নেই.
দেশে নারী নির্যাতনের আইন রয়েছে। বিচারও হয়। তবে পুরষের ক্ষেত্রে আমাদের পবিত্র সংবিধান কি বলে?
“বাংলাদেশ দন্ড বিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃতভাবে কোন পুরুষ, নারী বা জন্তুর সহিত, প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সহবাস করে সেই ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা যেকোন বর্ণনার কারাদণ্ডে (যার মেয়াদ দশ বছর পর্যন্ত হতে পারে) দন্ডিত হবে এবং তদুপরি অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবে।”
সংবিধানে আইন আছে। তবে লোকলজ্জা কিংবা সামাজিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ছেলে কিংবা পুরুষরা হয়তো আইন এড়িয়ে চলেন। কিন্তু এড়িয়ে চলে আদৌও কি এই সমস্যার সমাধান সম্ভব? সমাধানের জন্য পুরুষদের এগিয়ে আসতে হবে। সাহস নিয়ে ঘুরে দাড়াতে হবে। তবেই কারও সাথে এহেন জঘন্য কাজ ঘটবে না।
‘মুনতাসীর’ লিঙ্গ বৈষ্যমের বিপরীতে গিয়ে পুরুষ ও ছেলে শিশুর উপর হওয়া যৌন নির্যাতনের গল্প। নির্মাতা ‘মুনতাসীর’ গল্পে পুরুষকে মানুষ হিসেবে বুঝাতে চেয়েছেন। নারীদের মতো পুরুষদেরও থাকে যৌন হয়রানীর অভিজ্ঞতা, ট্রমা। সেক্সুয়েল হ্যারেজমেন্টের যে আসলে কোনো জেন্ডার নেই তার গল্পই ‘মুনতাসীর’ ।
অভিনয়ে সবাই দুর্দান্ত। মনোজ প্রামাণিক, শতাব্দী ওয়াদুদ, অশোক বেপারী, শরিফ সিরাজ, এলিনা শাম্মী সবাই বেস্ট অভিনয় করেছেন। তবে মনোজ দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দেখালেন। অসাধারণ একজন অভিনেতা মনোজ।
এছাড়া ফিল্মে ব্যবহৃত গানটি বেশ সুন্দর। আবহ সংগীত কিংবা ক্যামেরার কাজও ভালো লেগেছে।
মেয়ে কিংবা ছেলে, নারী কিংবা পুরুষ কোনো ভেদাভেদ নেই। দিনশেষে সবার পরিচিতি মানুষ হিসেবে। সেক্সুয়েল হ্যারেজমেন্টের কোনো জেন্ডার নেই।
#Review -2 :
”মুনতাসীর’ (স্পয়লার আছে)
International Men’s Day উপলক্ষ্যে ইফফাত জাহান মম’র নির্মাণ ‘মুনতাসীর’। একজন সাধারণ ছেলের ওপর হয়ে যাওয়া তার আপনজন এবং অফিসের বসের অমানবিক অত্যাচার দেখানো হয়েছে এখানে। শুধু যে শারীরিক নির্যাতন তাই নয় বরং মানসিক নির্যাতনও চালানো হয় তার ওপর। অবাক লাগলেও সত্যি, আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা ঘটে থাকে যেখানে ছেলেটা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকে। শুধুমাত্র পুরুষ বলে জিনিসটা ফলাও করে প্রচার হয় না এবং বিচারও হয় না। হবেই বা কিভাবে? যে সমাজে নারীদের প্রতি হয়ে যাওয়া এসব অন্যায়ের বিচার হয় না সেখানে ভিকটিম যদি হয় পুরুষ তাহলে সেটা আরও আমলে নেয়াই হবে না এটাই স্বাভাবিক।
গল্প নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না তবে গল্পের মেকিং এবং চিন্তাভাবনা নিয়ে কিছু জিনিস বলতে চাই। আর সেটার জন্য অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখেন পরিচালক ইফফাত জাহান মম। আমি লিঙ্গবৈষম্যে করছি না তবে একজন নারী পরিচালক হয়ে পুরুষদের উপর ঘটে যাওয়া এসব অন্যায় নিয়ে কন্টেন্ট তৈরি সত্যিই একটি সাহসী নির্মাণ। প্রথম কাজ হিসেবে এতো শক্তিশালী নির্মাণ দেখে আসলেই ভালো লেগেছে। ১ ঘন্টা ৪৪ মিনিট সময়কালের এই ফিল্মটি একটু বোরিং লাগতে পারে অনেকের কাছে। তবে সেটা একজনের জীবনের গল্পকে তুলে ধরবে৷ গল্প যত এগোতে থাকবে এক এক করে অনেক কিছুই সামনে আসবে যার একটি হলো সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি।
গল্পটি সুন্দর এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সাথে কালার গ্রেডিং এর কাজ দুর্দান্ত। গান এবং বিজিএম এ যে সময় নিয়ে কাজ করা হয়েছে সেটা যারা নিয়মিত ওটিটি কন্টেন্ট দেখে অভ্যস্ত তারা টের পাবেন ভালোভাবেই। প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম। ফ্রেশ একটা ফিল পাওয়া যাচ্ছিলো দৃশ্য গুলোতে। অভিনয়ে মনোজ প্রামাণিক এবং শরিফ সিরাজ ছিলেন অসাধারণ। ব্যতিক্রমী একটি চরিত্রে শতাব্দী ওয়াদুদকে ভালো লেগেছে। তবে অশোক ব্যাপারী! কেন যেন মনে হয়েছে তার সাথে চরিত্রটি মিলে গেছে খাপে খাপে। তবে এলিনা শাম্মী আরও ভালো করতে পারতেন বলে মনে হয় আমার। এছাড়া ছোট ছোট স্ক্রিনে অনেক ছিলো তারা মোটামুটি ভালো করেছেন।
কিছু জিনিসের দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন ছিলো যেমন হলো সরকারি অফিসে পিওন সহ ৪ জন মানুষ মাত্র কর্মরত । এখানে আর একটু মানুষ যুক্ত করলে ভালো হতো। গ্রাম্য অনুষ্ঠানে লোকবল কম লেগেছে। এসব জিনিসের দিকে আরেকটু নজর দিলে মনে হয়ে ভালো হতো। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত।
সবকিছু মিলিয়ে ভালো একটি কন্টেন্ট মনে হয়েছে আমার কাছে। সময় করে দেখে নিতে পারেন কাজটি।আজ আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জ রিলিজ দিল “মুনতাসীর” ওয়েবফিল্ম। সমাজের হাতের পুতুল না হয়ে এবং প্রচলিত চিন্তা ধারার বিরুদ্ধে চলা এক মানুষের গল্প উঠে আসে ফিল্মটিতে। সেক্সুয়েল হ্যারেজমেন্ট বা অ্যাবিউজমেন্টে বলতেই আমরা বুঝি নারী বা মেয়ে বাচ্চা নির্যাতিত হচ্ছে, কিন্তু তার বাইরেও সত্যতা আছে। নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও নির্যাতনের স্বীকার হয়। তবে সেসব ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ করার সাহস কেউ দেখায় না। তবে ইফফাত জাহান মম সেই সাহসের গল্পটাই বলেছেন মুনতাসীর চরিত্রের মাধ্যমে।
গল্পটা মুনতাসীরকে ঘিরে। যার অতীতে ও বর্তমানে ঘটে যাওয়া ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা ধরেই এগিয়ে যায় ফিল্মের গল্প। মুনতাসীর যখন একদম খাদের কিনারায় দাড়িয়ে, যখনই তার পিঠ ঠেকে যায় দেয়ালে, ঠিক তখনই ঘুরে দাড়ায় সাহসের সাথে। সমাজের দেওয়া সম্মানকে জলাঞ্জলি দিয়ে সমাজে বসবাস করা অমানুষদের বিরুদ্ধে দাড়ায় মুনতাসীর।
সামজিক ডেবু ভেঙ্গে বলার সাহস যা করে না কেউ মুনতাসীর সেটাই করেছেন। একদম সময়োপযোগী একটা গল্প বলতে চেষ্টা করেছেন নির্মাতা। এটা ভীষণ প্রয়োজন ছিল। এমন সাহসী গল্পের জন্য নির্মাতা বাহবা পাবেন
INFORMATION
SCREENSHOT

DOWNLOAD LINK BELOW
🔔 গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা
আমাদের পুরাতন ওয়েবসাইট old.cinebaz.site এখন আর সক্রিয় নয় এবং সেখানে নতুন কোনো কনটেন্ট আপলোড করা হয় না। সবশেষ আপডেট এবং নতুন কনটেন্টের জন্য ভিজিট করুন আমাদের নতুন ওয়েবসাইট: mlsbd.news ✅
COPYRIGHT: If you believe that any content on this site infringes your copyright,please send a takedown notice using a verifiable email address to: [email protected]We will review your request and respond promptly, typically within 2 business days, to address and remove any infringing content